রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Proval Logo

কুড়িগ্রামে হাজারো মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত - ০৩ জুলাই, ২০২৪   ০৮:২০ পিএম
webnews24
অনলাইন ডেস্ক

প্রভাত সংবাদদাতা, কুড়িগ্রাম  : ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বুধবার সকাল ৯টায় চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে এই নদের পানি বিপদসীমার যথাক্রমে ৯ ও ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এর অববাহিকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েকটি উপজেলার হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি বাড়ছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। এ অবস্থায় জেলার নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল ও এর উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই সময়ে উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
পূর্বাভাস কেন্দ্রের বার্তায় ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেওয়া না হলেও এই নদের পানি বিপদসীমার অতিক্রম করে জেলার নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে শত শত পরিবার। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার সবকটি নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পাউবো, কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ১৫ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এ সময় ওই পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একই সময়ে এই নদের পানি নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ধরলার পানি কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ক্রমেই বিপদসীমার দিকে ধাবিত হচ্ছে। রাতভর তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রহ্মপুত্রে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এর নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চর বালাডোবা, বতুয়াতলি মূসার চর, ব্যাপারিপাড়া নতুন চর এবং পূর্ব ও পশ্চিম মশালের চরের শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। বাধ্য হয়ে এসব পরিবারের অনেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন। বসতভিটা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নৌকাতেই রান্না ও খাবার সেরে নিচ্ছেন। তবে শৌচাগার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষজন।

প্রভাত/টুর
 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন
বাগেরহাটে বেশিরভাগ ডিলার আত্মগোপনে :