প্রভাত ডেস্ক :রুদ্ধশ্বাস ১২০ মিনিটে ১-১ সমতা। ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। সেই টাইব্রেকার ভাগ্যে শেষ হাসি হাসলো ইংল্যান্ড, বিদায় করে দিলো সুইজারল্যান্ডকে। সুইসদের ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।
টাইব্রেকারের শুরুতেই কোল পালমার শট নিয়ে গোল করেন। এর পরেই ম্যানুয়েল আকাঞ্জি আসেন সুইসদের হয়ে কিক নিতে এসে মিস করেন। ১-০ তে এগিয়ে যায় ইংলিশরা।
দ্বিতীয় শট নিতে এসে জুড বেলিংহ্যাম গোল করেন। সুইসদের হয়ে ফাবিয়েন শার দ্বিতীয় শট নিতে এসে গোল করে ব্যবধান কমায় সুইসরা।
তৃতীয় শট নিতে আসেন ইংলিশ গোলস্কোরার সাকা। তিনিও গোল করেন থ্রি লায়ন্সদের হয়ে। সুইসদের হয়ে তৃতীয় শটে গোল করে ব্যবধান ২-৩ এ নিয়ে আসেন শাকিরি।
চতুর্থ শটে আইভান টনি গোল করে ইংল্যান্ডকে ৪-২ এ এগিয়ে দেন। সুইসদের হয়ে আন্তনি গোল করে ৪-৩ এ ব্যবধান কমিয়ে আনেন। পঞ্চম শট নিতে এসে আলেক্সান্ডার আর্নল্ড গোল করলে ৫-৩ ব্যবধানে জয় পেলো ইংল্যান্ড।
এর আগে এমবোলোর গোলে সুইসরা ধরেই নিয়েছিল, তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে যাচ্ছে। কিন্তু বুকায়ো সাকার দুর্দান্ত গোল ইংলিশদের সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচ নিয়ে গেলো অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও কোনো গোল না হলে ম্যাচ অবশেষে গড়ালো টাইব্রেকারে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে সমতায় ছিল।
টুর্নামেন্টে খারাপ খেলার ধারাবাহিকতা এই ম্যাচেও বজায় রাখে ইংলিশরা। সুইসদের ডি বক্সের ভেতর নজর কাড়ার মতো তেমন আক্রমণই করতে পারেনি তারা।
ডাসেলডর্ফ এরেনায় প্রথম সুযোগ পেতে ইংলিশদের অপেক্ষা করতে হয় ২২ মিনিট পর্যন্ত। কর্নার থেকে ট্রিপিয়ারের ক্রসে ডি বক্সের ভেতর ফাঁকা জায়গায় সুযোগ পেয়েও হেডে বল বাইরে মারেন হ্যারি কেইন।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল তাদের নির্বিষ খেলা বজায় রাখে। ৫১ নিনিটে এমবোলোর দুর্বল শট পিকফোর্ড সহজেই তালুবন্দি করেন৷
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় সুইসরা। এর আগ পর্যন্ত চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে তারা। এনদোয়ের ক্রস থেকে ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে বাঁ পায়ে গোল দেন এমবোলো। সর্বশেষ সুইস খেলোয়াড় হিসেবে এর আগেও ইংলিশদের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি।
গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড, লুক শকে বদকি হিসেবে নামান গ্যারাথ সাউথগেট। তাতেই পালটে যায় ইংলিশরা। ৮১ মিনিটে বুকায়ো সাকার দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে ম্যাচে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। ম্যাচের শেষ দিকে আর কোনো সুযোগ সৃষ্টি না করতে পারলে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হয়।
অতিরিক্ত সময়ের ৯৫ মিনিটে ডেকলান এয়াইসের দূরপাল্লার শট দারুণভাবে বাঁ দিকে ঝাপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সুইস গোলরক্ষক সোমার। ১০২ নিনিটে জুড বেলিংহ্যামের শটও তালুবন্দি করেন এই গোলরক্ষক।
দুই দলই ৫০ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে খেললেও আর কোনো গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
প্রভাত/টুর