প্রভাত ডেস্ক : ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টে মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠান ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার ইরানের পার্লামেন্টের প্রিজাইডিং বোর্ডের সদস্য মোজতাবা ইউসেফি একথা জানিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিরা অংশ নেবেন। ৬৯ বছরের পেজেশকিয়ান গেলো ৫ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় বিজয়ী হয়ে প্রয়াত ইব্রাহিম রাইসির উত্তরসূরি হিসাবে নির্বাচিত হন। পেশায় কার্ডিয়াক সার্জন পেজেশকিয়ান ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হোন। আর প্রতিদ্বন্দ্বী জালিলি পেয়েছেন ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৯ ভোট।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পর সেটিতে অনুমোদন দেয় ইরানের সর্বোচ্চ অভিভাবক পরিষদ। সেখান থেকে নির্বাচনের ফল অনুমোদন করে পাঠানো হয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাঈদ আলী খামেনির কাছে। তিনি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেয়ার পর নতুন প্রেসিডেন্টের শপথের তারিখ করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, ইরানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টদের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে সংসদে শপথ নিতে হয়। সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ৩০ জুলাই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর পর প্রেসিডেন্ট তার প্রস্তাবিত মন্ত্রীদের আস্থা ভোটের জন্য সংসদে উপস্থাপনের জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন।
মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
পেজেশকিয়ান ইরানের দেশটির পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের বাসিন্দা। তিনি ১৯৫৪ সালে মাহাবাদ শহরে জন্ম নেন। তার বাবা ইরানি-আজেরি ও মা ইরানি-কুর্দি। পেজেশকিয়ান জেনারেল মেডিসিনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্র থাকার সময় তিনি পাহলভি শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের দলে ভিড়েছিলেন।
মাসুদ পেজেশকিয়ান ১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। তার ওপর দায়িত্ব ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে চিকিৎসাকর্মীদের দেখভাল করা। ১৯৯৪ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও এক সন্তান হারান তিনি। পরে আর বিয়ে করেননি। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়েই আঝেন তিনি।
প্রভাত/টুর