সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

ছাত্র দলের নেতৃত্বে বিএনপি নেতার উপর হামলা

প্রকাশিত - ১৮ আগস্ট, ২০২৪   ০৮:৫০ পিএম
webnews24
নিজেস্ব প্রতিবেদক

প্রভাত রিপোর্ট : বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে সহিংসতায় জড়ালেন কমলনগর উপজেলা ছাত্রদল। উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও সদস্য সচিব মোঃ জাফর আহম্মদের নেতৃত্বে নিজ দলের নেতা তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার সিরাজ(মেম্বার) তোরাবগঞ্জ ইউপি'র ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও  ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-সভাপতি এবং উপজেলা কমিটির সদস্য।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ওই ইউনিয়নের ফাযিল বেপারির হাট বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আ'লীগ সরকারের পতনের পর তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ওই ইউপি'র প্যানেল চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম। রবিবার দুপুরে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান সাজু ও সদস্য সচিব জাফর আহমেদ এর নেতৃত্বে ১০-১২ টি হোন্ডা দিয়ে ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোঁটা নিয়ে পরিষদের সামনে যায়। পরে পরিষদের ভিতরে গিয়ে সিরাজ মেম্বারের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং পরিষদের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদ ও সদস্য সচিব জাফরের নেতৃত্বে ১০-১২ টি মটর সাইকেলে ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপকে দেখা যায়। পরিষদের অনার বোর্ড ভাঙ্গা, মাটিতে পড়ে আছে। এবং আসবাবপত্র উলটপালট পড়ে থাকতে দেখা গেছে। 'সবাই চলে আসো, কাজ শেষ' বলে তারা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলে আসেন।

স্থানীয় বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা জানান, ৫ আগস্টের পর এই পরিষদের চেয়ারম্যান নাই। দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্যানেল চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সিরাজ মেম্বার।  এই পরিষদ এখন বিএনপি'র স্থানীয় অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকি ১৫ তারিখে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন এই অফিসে করা হয়েছে। এই বিএনপি নেতার উপর ছাত্রদলের এই হামলা নিন্দনীয়। এছাড়াও আ'লীগের সাবেক চেয়ারম্যানের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে বলে তারা আরো জানান।

হামলার শিকার প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজ জানান, এরা সবাই আমাদের দলীয় লোক। পরিষদে ডুকে আমাকে তুই, তোকারি বলে আমার উপর হামলা করে।পরে পরিষদের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।

উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান সাজু জানান, এই পরিস্থিতিতে ভোটি বিহীন চেয়ারম্যানেরা পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে আমরা চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে সচিব দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলে আসছি। হামলা- ভাংচুরের ঘটনা সত্যি নয়। 

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে এখনো জানিনা। ঘটনার সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন
ডয়চে ভেলে