বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

খুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুরু হয়নি ক্লাস-পরীক্ষা ক্যাম্পাসে স্বস্তির পদধ্বনি

প্রকাশিত - ১৮ আগস্ট, ২০২৪   ০৯:৫৯ পিএম
webnews24

প্রভাত রিপোর্ট : শিক্ষক ও ছাত্রদের আন্দোলনে অচল হওয়ার প্রায় দেড়মাস পর গতকাল রবিবার খুলেছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সফল আন্দোলনের ফলে ক্যাম্পাসগুলোতে শোনা যায় স্বস্তির পদধ্বনি। জানা যায়, পহেলা জুলাই থেকে প্রত্যয় পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা। এতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ৫ আগস্ট সরকারের পতন হয়। এরপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন। এরই মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, আড্ডা-গল্পে ক্যাম্পাস মুখরিত হলেও খোলেনি ক্লাসরুম। বেশিরভাগ বিভাগের সামনেই ঝুলছে তালা। এরমধ্যেই উঠেছে দলবাজ শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই ক্যাম্পাসে আসেনি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, চেয়ার বাঁচাতে যারা ছাত্র-ছাত্রীদের বিপদের মুখে ফেলেছেন তারা এখন মুখ দেখাবেন কি করে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন অভিভাবকহীন! উপাচার্য, প্রক্টর, হল প্রাধ্যক্ষসহ এত শূন্য পদ নিয়ে এমন ক্যাম্পাস দেখা যায়নি কখনোই। গতকাল রবিবার ক্যাম্পাস খুললেও খোলেনি ক্লাসরুম। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় যারা নিপীড়নকারীদের পক্ষ নিয়েছেন, সেইসব শিক্ষকদের পদত্যাগসহ নানা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। একজন শিক্ষার্থী বলেন, এমন একজন ব্যক্তি যিনি সরকারের সব কথায় উঠতেন বসতেন, এমন কোনো ব্যক্তিকে আমরা পরিচালক হিসেবে আর দেখতে চাই না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা আমাদের দুর্দিনে পাশে থাকেন নি, তাদের ক্লাস করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
বিভিন্ন বিভাগ বন্ধ থাকলেও খুলেছে গ্রন্থাগার। পড়াশোনা শুরুর তোড়জোড়ও দেখা গেছে অনেকের মধ্যে। পড়ার টেবিলে ফিরলেও রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও নতুন রূপে দেখার আকাঙ্ক্ষা উবে যায়নি শিক্ষার্থীদের।
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাচ্ছি এমন একজন ভিসি যিনি আমাদের দেখে শুনে রাখবেন, সন্তানকে বাবা মা যেভাবে আগলে রাখে সেভাবে। ভিসি একই ভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি খাতে হাত লাগাবেন। প্রত্যেকটা সেক্টর উন্নত করবেন। আমরা কিন্তু নেতা নির্ভর রাষ্ট্র চাই না, আমরা চাই নীতি নির্ভর রাষ্ট্র। শিক্ষার্থীদের সামনে ডাকসু নির্বাচন থাকবে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন থাকবে। নতুন যিনি ভিসি হবেন, তাকে নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাটা যেন বেশি হয়। 
এদিকে, আন্দোলনের সময় বিরোধী অবস্থানে থাকা অনেক স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদেরও পদত্যাগের দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গণ আন্দোলনে রূপ নেওয়ার পর গত ১৬ জুলাই থেকে স্কুল, কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন
সংবাদ সম্মেলনে অসত্য তথ্য পরিবেশনের তীব্র প্রতিবাদ
সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা