বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

শক্তি বাড়াতে আরও কর্মসূচি দেবে বিএনপি

প্রকাশিত - ০৪ জুলাই, ২০২৪   ০৯:২৪ পিএম
webnews24
অনলাইন ডেস্ক

প্রভাত রিপোর্ট : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি শেষ করেছে বিএনপি। বুধবার সারা দেশের জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ছিল তিনদিনের শেষ কর্মসূচি। বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, আবারও দ্রুততম সময়ে দলের চেয়ারপারসনের ইস্যুতে কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, খালেদা জিয়ার ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে অন্যান্য ইস্যু যুক্ত করতে চায় বিএনপি। এক্ষেত্রে দেশের আর্থিক দুরবস্থা, দুর্নীতি ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক বাতিলের দাবিগুলোও যুক্ত হবে। যুগপৎ ধারায় যুক্ত দলগুলোকে এই ইস্যুতে যুক্ত করতে চায় বিএনপি। ইতোমধ্যে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে, তা গোলামির নবতর সংস্করণ মাত্র।
দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির আগামী বৈঠক বা তার আগেই নতুন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এক্ষেত্রে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি জানাবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও আলোচনা করিনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবো। তারপর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। 
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, বুধবার জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় অনুসারীদের হামলার শিকার হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নাটোর, পটুয়াখালী, বাগেরহাট জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশে চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর ৮ দিনের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। এরপর ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর ঢাকাসহ দেশের মহানগর ও জেলা শহরে সর্বশেষ অনশন কর্মসূচি পালন করেন নেতাকর্মীরা। উভয় সময়েই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল।
এ বছরের সাত জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আবারও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলতে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে বিরোধী দলের নেতারা। সভা-সেমিনারে বিরোধীদলীয় নেতারা নিজেদের আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য পরস্পরকে উৎসাহিত করছেন।
গণফোরামের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার পতন অনিবার্য করতে হলে আমাদের ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আমরা রাজপথে খুব শিগগিরই নামবো।
সংলাপে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এ বছরের মধ্যে সরকারকে বিদায় করা উচিত। সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া দরকার।
যুগপতে যুক্ত ও বাইরে থাকা বিরোধী দলের কয়েকজন নেতা এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানান, সভা-সেমিনার বা শুক্রবার জুমার পর বিক্ষোভ করে সরকারকে কার্যকর চাপে রাখার কোনও সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলোকে আরও কাছাকাছি এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠের কর্মসূচিতে যেতে হবে।

প্রভাত/টুর

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন
ডয়চে ভেলে