বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

রায়পুর পৌরসভা ব্যস্ত সড়ক খানাখন্দে ঠাসা

প্রকাশিত - ০৭ জুলাই, ২০২৪   ১০:০০ পিএম
webnews24
অনলাইন ডেস্ক

জিহাদ হোসেন রাহাত , রায়পুর : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা এলাকার থানা মোড় থেকে নর্দমা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে রয়েছে অসংখ্য গর্ত। বৃষ্টি এলেই ছোটো বড়ো এসব গর্তে পানি জমে তৈরি হয় কাদা-পানির থৈ থৈ অবস্থা। জনজীবনে নেমে আসে মাত্রাতিরিক্ত ভোগান্তি।দীর্ঘ সময় ধরে সড়কটির এমন নাজুক অবস্থা থাকলেও এটি সংস্কারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না যথাযথ পদক্ষেপ। ফলে সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে এই রুটে। রায়পুর পৌরসভা অংশে থানা মোড় থেকে নর্দমা পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা নাজুক হলেও নর্দমা থেকে হায়দারগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তা রয়েছে পুরো ভালো। গতকাল রবিবার  সকালে ওই সড়কের সরকারি মার্চেন্টস একাডেমি মার্কেট, তাজমহল সিনেমা হল, টিসি রোড মোড়, খেজুরতলা, শ্মশান ঘাট এলাকার সড়কে দেখা যায়, ছোট-বড় এমন অসংখ্য গর্তের। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি ও ময়লা-আবর্জনা জমে তৈরি হয়েছে খানাখন্দের। সড়কের পাশে দেবে যাওয়া অনেক জায়গায় জমা পানির দেখাও মিলেছে। বিপজ্জনক এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রাক, অটোরিকশা, রিকশা ও ব্যক্তিগত (প্রাইভেট) গাড়িসহ আরো অনেক ধরনের যানবাহন। জমা পানির গর্তে বেশ কিছু যানবাহনকে দীর্ঘসময় আটকে থাকতে দেখা গেছে। সড়কটি হয়ে পথ চলতে গিয়ে বিড়ম্বনা ও অস্বস্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে সড়কটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ পড়েনি চোখে।
জুম্মান নামে স্থানীয় এক ভবন মালিক বলেন, সড়কটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে গর্ভবতী মা বোনেরা যাতায়াত করতে কষ্ট হচ্ছে। মেয়র মহোদয় বারবার বলছেন টেন্ডারের কথা তবে আমরা দৃশ্যমান কিছুই দেখছি না। সাইফুল ও শেখ ফরিদ নামে দুই মোটরসাইকেল চালক বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমরা দিনে অন্তত দুই থেকে দশ বার যাতায়াত করি। চাকার সাথে কাদাপানি উঠে এসে জামা-কাপড় নষ্ট হয়। মোটরসাইকেল থেকে কয়েকদিন পড়ে গিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তারা।
অটোরিকশা চালক রতন মিয়া বলেন, আজকে আমার চাকার বেয়ারিং ভেঙে গেছে। প্রায় সময়ই এমন হয়। ৪শ টাকা খরচ হয়েছে। দৈনিক ৭শ টাকা রোজগার করে যদি মেরামতে ৪শ টাকা খরচ হয় তাহলে সংসার কিভাবে চালাবো আপনারাই বলেন। রফিক নামে এক দিনমজুর বলেন, রাস্তায় হেঁটেও চলাচল করা যায় না। খুবই অসুবিধায় আছি আমরা। বারবার ইটের গুঁড়া না ফেলে একবারে সংস্কার করে দিলে ভালো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কটিতে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক গর্ত। নেই কোনো প্রকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। রাস্তা সংস্কারের কাজের বিষয়টি মেয়র রুবেল ভাট থোড়াই কেয়ার করছেন বলেও অভিযোগ করেন বাসিন্দারা।
তবে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর এই রাস্তাটি তিন বার সংস্কার করেছি। এটি আসলে পরিকল্পিত সড়ক না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। প্রসস্থও করতে হবে। আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি থানা মোড় থেকে নর্দমা পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা করার চেষ্টা করছি। ট্রেন্ডারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন