• শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম

৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব ১৩ মে

প্রভাত রিপোর্ট / ২০ বার
আপডেট : বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫

প্রভাত বিনোদন: বছর পেরিয়ে ফের শুরু হলো বিশ্বখ্যাত স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসব কান। এবারের ৭৮তম আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৩ মে, ফ্রান্সের কান শহরের পালে দ্য ফেস্টিভাল ভবনে। উৎসবের পর্দা নামবে ২৪ মে। তবে উৎসব শুরু হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষ একেবারে চমকে দিয়েছেন দুটি খবর দিয়ে। উৎসবের প্রথম দিন, উদ্বোধনী আসরে আজীবন সম্মাননা তথা গৌরবসূচক পাম দ’র প্রদান করা হবে কিংবদন্তি মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক রবার্ট ডি নিরোকে। সঙ্গে আরও একটি মার্কিনি চমক থাকছে ফরাসি এই উৎসবে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন (১৪ মে) লালগালিচা হয়ে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে হাজির হবেন হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ। এদিন অভিনেতার নতুন ছবি ‘মিশন: ইমপসিবল–দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর অফিশিয়াল স্ক্রিনিং হবে। সঙ্গে থাকবেন টম ক্রুজের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি এবং পুরো টিম। এটি হবে কিংবদন্তি হলিউড তারকার তৃতীয় কান সফর। প্রথমবার তিনি এসেছিলেন ১৯৯২ সালে, রন হাওয়ার্ডের ছবি ‘ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে’-এর প্রিমিয়ারে। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালে তিনি আবার কানে ফিরেছিলেন ‘টপ গান: ম্যাভরিক’ নিয়ে। সেই সফর ছিলো একেবারে স্মরণীয়—আবেগঘনভাবে তাকে প্রদান করা হয়েছিল গৌরবসূচক পাম দ’র, আর তার মাস্টারক্লাস ছিলো দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক অভিজ্ঞতা।
জানা গেছে, প্রায় তিন দশকের অ্যাকশন, স্টান্ট আর ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত সমাপ্তি হতে চলেছে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এবারের পর্বে আরও অভিনয় করেছেন হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং রেইমস, সায়মন পেগ, এসাই মোরালেস, পম ক্লেমেন্টিয়েফ, হেনরি জার্নি, মারিয়েলা গ্যারিগা, অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট প্রমুখ। ছবিটি ফ্রান্সে মুক্তি পাচ্ছে ২১ মে আর যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ মে। এদিকে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে রবার্ট ডি নিরোকে গৌরবসূচক পাম দ’র প্রদান করা হলেও এই উৎসবের সঙ্গে তার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। ২০১১ সালে তিনি কান উৎসবের বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। ১৪ বছর পর আবার তিনি কানে ফিরছেন সম্মানের পরশ নিয়ে।
পম দ’র প্রাপ্তির ঘোষণা পেয়ে ডি নিরো তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘কান উৎসবের প্রতি আমার গভীর অনুভব রয়েছে। এখন, যখন বিশ্ব নানা বিভাজনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন কান আমাদের একত্রিত করে—গল্পকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, দর্শক ও বন্ধুদের। এটা যেন ঘরে ফেরার মতো। নিউ ইয়র্কের তরুণ প্রজন্মের একদল নির্মাতার সঙ্গে নিরোর যাত্রা শুরু হয়েছিল ব্রায়ান ডে পালমার হাত ধরে। এরপর মার্টিন স্করসেসির সঙ্গে গড়ে ওঠে এক অসামান্য মিত্রতা, যার শুরু ‘মেন স্ট্রিটস’ (১৯৭৩) সিনেমা দিয়ে। ‘দ্য গডফাদার পার্ট ২’ তাকে এনে দেয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতার অস্কার। ১৯৭৬ সালে ‘১৯০০’ ও ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ নিয়ে আসেন কানে, যেখানে ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’র জন্য পেলেন পালম দ’র। কান কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৪ মে, বুধবার, ডি নিরো অংশ নেবেন পালে ভবনের দ্যুবুসি থিয়েটারে এক বিশেষ মাস্টারক্লাসে, যেখানে তিনি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের সঙ্গে মুখোমুখি বসবেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও