হাবিবুর রহমান,ডেমরা: রাজধানীর ডেমরায় রাজউকের নীতিমালা ভঙ্গকারী নির্মানাধীন ভবন উচ্ছেদ করতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রাজউকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিচালক (উপ- সচিব,এস্টেট ও ভূমি-২) মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার এর নেতৃত্বে বুধবার দুপুরে হাজিনগর এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় রাজউকের নকশা ও নিয়ম ভঙ্গ করে নির্মাণাধীন ৩ ভবনের কাজ বন্ধ করা হয়। ক্ষণিকালয় নামে ১০ তলা একটি ভবন ও আইয়ুব নবী এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ওই দুই ভবনের দেয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রাজউকের অথরাইজড অফিসার জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ভবন মালিকরা রাজউকের অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করে ১০ ও ৭ তলা ভবন নির্মাণ করেছে। অভিযানকালে ভবন মালিকরা তাদের নির্মাণ অনুযায়ী যথোপযুক্ত রাজউকের প্রমাণাদি দেখাতে পারেন নি।
এ বিষয়ে ক্ষণিকালয় ভবনের পরিচালক মোঃ হাফিজ আহমেদ পাটোয়ারী বলেন, টাকা ছাড়া রাজউকে কোন প্ল্যান পাস হয় না। এক একটি প্ল্যান পাস করতে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। আর রাজউকের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা না করে আমরা কোন কাজ করিনি। বিগত দিনে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ চলমান রেখেছি। অথচ ৫ আগস্টের পর নতুন করে আবারও নিয়ম বানিয়েছে রাজউক। বিগত দিনে এই অঞ্চলের কোন ভবন মালিক রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেনি। কিন্তু কারো না কারো অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
এ উচ্ছেদ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন রাজউকের পরিচালক ( জোন-৬ ) শামীমা মোমেন, অথরাইজড অফিসার জোন-৬/২ জান্নাতুল মাওয়া, সরকারি অথরাইজড অফিসার শাহনাজ খানম, প্রধান ইমারত পরিদর্শক নজরুল ইসলাম মনি, বাসুদেব ভট্টাচার্য, ইমারত পরিদর্শক ফিরোজ আলম, নাজিম উদ্দিন, মারুফ হোসেন, অমিত হাসান, মিল্লাত হোসেন, মো. শাহ আলম, মলয় চন্দ্র রায়, হায়াত মাহমুদ শামীম ও আল জুবায়ের প্রমুখ।
এ সময় অভিযানে সহযোগিতা করেন বিদ্যুৎ বিভাগের সারুলিয়া ডিপিডিসি দল ও ডেমরা থানা পুলিশ।
অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, বিগত দিনে রাজধানীতে যত ভবন নির্মাণ হয়েছে নীতিমালা ভঙ্গ করে সেগুলোর ব্যবস্থা সরকার নিবে। বর্তমানে ভবন নির্মাণে কোন প্রকার ও নিয়ম দুর্নীতি চলবে না। আমরা সরেজমিন দেখেছি ভবন নির্মাণকারীরা নিয়ম বহির্ভুতভাবে সড়কে নির্মাণ সামগ্রী দেখে মানুষের চলাচল কে বিঘ্নিত করছে। আর ভবন নির্মাণে রাজউকের কোন প্রকার নীতিমালা তারা মানছে না। তাই আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আমরা বর্তমানে যে অভিযান পরিচালনা করছি এতে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে যাতে তারা ভবিষ্যতে রাজউক নীতিমালা ভঙ্গ করে কোন প্রকার কাজ না করেন। বিশেষ করে নীতিমালা ভঙ্গ করে যারা কাজ করে তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে। পরিমাণ মতো জায়গা না ছেড়ে কাজ করলে অভ্যন্তরীণ সড়ক অপ্রসস্থ হয়ে যায়। আর ভবনের চারপাশ খোলামেলা না রাখলে আগুন লাগা সহ অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন প্রকার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সহ কোন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করতে পারে না।