প্রভাত সংবাদদাতা,মোরেলগঞ্জ : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কুহারদাহ নেহাল খালী এলাকায় প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমিতে মৎস্য ঘের নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে । জমির প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ব্যাপক ফসলহানির শিকার হচ্ছেন কৃষকরা। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ২৩ জুন সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ ঘের নির্মানে কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ার ফলে চাষাবাদের উপযোগী জমিতে পানি জমে রয়েছে, ধানের চারা পঁচে গেছে এবং রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। স্হানীয় কৃষকদের অভিযোগ করেন, জমির প্রকৃত মালিকদের সম্মতি ছাড়াই প্রভাব খাটিয়ে এসব জমি দখল করা হয়েছে।
একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নুরুল ইসলাম খান বলেন, “ঘেরের পানি আটকে রাখায় ধানের চারা রোপণ করা যাচ্ছে না। কিছু জমিতে চারা নষ্ট হয়ে গেছে। আগে এই এলাকায় কখনো ঘের ছিল না—এবার জোরপূর্বক তা করা হচ্ছে।”
চান মাতুব্বর নামে আরেক কৃষক জানান, “আমার বরগা নেওয়া জমিতেও জোর করে ঘের নির্মাণ করা হয়েছে। বাধা দিলে মামলা ও হামলার হুমকি দেওয়া হয়।”
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রাবেয়া খানম, শাহিনুর বেগম, মোশারফ মাতুব্বর ও মহারাজসহ অনেকেই জানান, জমি দখলের সময় স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং প্রতিবাদকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত থানা কৃষকদলের সভাপতি সাদিক শিকদার দাবি করেন, “আমরা ১০৪ জন জমির মালিকের সম্মতি নিয়েই ঘের নির্মাণ করেছি এবং ক্ষতিপূরণও দিয়েছি।
জমির প্রকৃত মালিকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, প্রশাসনের সময়মতো পদক্ষেপ না এলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তারা কৃষিজমির স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে এনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।