• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মোরেলগঞ্জে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা অনুমোদন সভা অনুষ্ঠিত রিকশা চালিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জার্মান রাষ্ট্রদূতের বেশিরভাগ জমি এখনও টেকসই চাষের বাইরে : বিবিএস নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল অপরাধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যায় যেতে হবে না: এনবিআর চেয়ারম্যানের আটক হওয়া বাংলাদেশিরা আইএসের সঙ্গে যুক্ত: মালয়েশীয় পুলিশ মহাপরিদর্শক ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনোই বন্ধ হবে না : ইরাভানি নাজিরপুর উপজেলা যুবদলের আনন্দ মিছিল ও র‍্যালি

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ইইউকে অনুরোধ করবে ইউক্রেন

প্রভাত রিপোর্ট / ১৬ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত গম বাংলাদেশ আমদানি করছে—এমন অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সতর্ক করার পরও আমদানি বন্ধ না হওয়ায় ইউক্রেন এবার বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাবে বলে জানিয়েছে দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ভারতস্থ রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক চিঠি পাঠানো হলেও সেগুলোর কোনো জবাব আসেনি। ফলে কিয়েভ বিষয়টি ইইউতে উত্থাপন করতে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রাশিয়ার কিছু কোম্পানি অধিকৃত ইউক্রেনীয় এলাকা থেকে শস্য সংগ্রহ করে তা রাশিয়ার গমের সঙ্গে মিশিয়ে রপ্তানি করছে, যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অপরাধ। আমরা এই বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা তথ্য এবং তদন্ত প্রতিবেদন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে তুলে ধরবো।’
রয়টার্সের কাছে থাকা নথির ভিত্তিতে বলা হয়, চলতি বছর ইউক্রেনের নয়াদিল্লি দূতাবাস থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব চিঠিতে রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে আমদানিকৃত ১.৫ লাখ টনেরও বেশি চুরি করা গম গ্রহণ না করার আহ্বান জানানো হয়।
২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তৃত কৃষিভূমি রাশিয়া নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর থেকেই গম চুরির অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ। ২০২২ সালের পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসনের পর এ ধরনের অভিযোগ আরও জোরালো হয়। তবে মস্কোর দাবি, ওই অঞ্চল এখন রাশিয়ার অংশ এবং তারা নিজেদের উৎপাদিত গমই বৈধভাবে রপ্তানি করছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে যোগাযোগ করলেও বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “বাংলাদেশ কখনোই চুরি করা গম আমদানি করে না। রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চল থেকে কোনো গম আমদানি করা হয়নি।”


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও