• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম

আইপিএলে সবচেয়ে বেশি জরিমানা দিতে হয়েছে পন্তকে

প্রভাত রিপোর্ট / ২৮ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫

প্রভাত স্পোর্টস: এবারের আইপিএলে নিলামের দিন থেকেই ব্যাপক আলোচনায় ঋষভ পন্ত। আইপিএল–রেকর্ড ২৭ কোটি রুপিতে বিক্রি হওয়ায় এই ক্রিকেটারের দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রতিনিয়ত। মজার বিষয় হচ্ছে, ২০২৫ আইপিএলে একক খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি জরিমানাও দিতে হয়েছে পন্তকেই।
শুধু পন্তই নন, ভালো অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হার্দিক পান্ডিয়া, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রজত পতিদারকেও। আবার কম পারিশ্রমিকের দিগ্বেশ রাঠিকেও বড় অঙ্কের অর্থদণ্ডই দিতে হয়েছে।
১০ দলের আইপিএলে লিগ পর্ব পর্যন্ত হয়েছে ৭০ ম্যাচ। এই ম্যাচগুলোতে দলগুলোর খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা দুটি কারণে অর্থদণ্ড পেয়েছেন। একটি হচ্ছে স্লো ওভার রেট, আরেকটি আচরণবিধির লঙ্ঘন। এর মধ্যে স্লো ওভার রেটেই জরিমানা হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
একটি দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে দায় প্রধানত অধিনায়কের। যে কারণে কোনো দল টুর্নামেন্টে প্রথমবার স্লো ওভার রেটের অপরাধ করলে শুধু অধিনায়ককে জরিমানা করা হয়। একই ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটলে অধিনায়কের জরিমানা দ্বিগুণ করা হয়, পাশাপাশি ওই ম্যাচের সব ক্রিকেটারের ম্যাচ ফির একটি অংশ জরিমানা করা হয়। তৃতীয়বার ঘটলে অধিনায়ক ও খেলোয়াড়দের জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়ে। স্লো ওভার রেটের কারণে একাধিকবার জরিমানা সবচেয়ে বেশি হয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক পন্ত ও তাঁর সতীর্থদের। ১০ দলের মধ্যে সপ্তম হয়ে প্লে–অফের আগে বাদ পড়া দলটি মোট ৩টি ম্যাচে নির্দিষ্ট সময়ে ওভার শেষ করতে পারেনি। এর দুটিই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে, একটি বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে।
নিয়মানুযায়ী প্রথম ম্যাচের পর পন্তের জরিমানা হয়েছিল ১২ লাখ রুপি। দ্বিতীয়বার সেটা বেড়ে হয় ২৪ লাখ আর তৃতীয়বার ৩০ লাখ। অর্থাৎ স্লো ওভার রেটের কারণেই মোট ৬৬ লাখ রুপি জরিমানা দিয়েছেন পন্ত। দ্বিতীয় স্লো ওভার রেটের ম্যাচে লক্ষ্ণৌর বাকি খেলোয়াড়দের (ইমপ্যাক্ট বদলিসহ) জরিমানা হয়েছে ৬ লাখ রুপি বা ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ (দুটির মধ্যে যেটি কম)। আর তৃতীয় স্লো ওভার রেটের পর ১২ লাখ বা ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ (যেটি কম)।
আইপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের পরিমাণ খেলোয়াড়ভেদে ভিন্ন হলেও ম্যাচ ফি সবার জন্যই সমান—প্রতি ম্যাচে সাড়ে ৭ লাখ রুপি। যার অর্থ হচ্ছে, যেসব খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক কম, তাঁদের জরিমানার অঙ্কও কমে আসে। তবে পুরো দলকে যখন স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানা দিতে হয়, মোট পরিমাণটা ৫০ লাখের আশপাশেই থাকে। লক্ষ্ণৌর খেলোয়াড়দের বিপদ হচ্ছে, জরিমানাটা তাঁদের দুই দফায় দিতে হয়েছে। লক্ষ্ণৌর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জরিমানা দিতে হয়েছে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে। বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পতিদার ও মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার জরিমানা হয়েছে মোট ৩৬ লাখ রুপি করে (প্রথমবার ১২, দ্বিতীয়বার ২৪ লাখ)। দুটি দলের খেলোয়াড়দের ৬ লাখ বা ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়েছে।
এ ছাড়া রাজস্থান রয়্যালসের খেলোয়াড়দেরও একবার জরিমানা দিতে হয়েছে। রাজস্থান অবশ্য দুবার স্লো ওভার রেটের খড়্গে পড়লেও অধিনায়ক ছিলেন ভিন্ন। প্রথমবার রিয়ান পরাগ, দ্বিতীয়বার সঞ্জু স্যামসন। স্যামসন পরের ম্যাচের অধিনায়কত্বে থাকায় তাঁর জরিমানা হয়েছিল ২৪ লাখ।
অধিনায়কদের মধ্যে স্লো ওভার রেটের জরিমানা হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেল, পাঞ্জাব কিংসের শ্রেয়াস আইয়ার এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্যাট কামিন্সেরও। তাঁদের সবার স্লো ওভার রেট একবারই হওয়ায় জরিমানার পরিমাণ ছিল ১২ লাখ রুপি, দলের কারও জরিমানা হয়নি। সব মিলিয়ে লিগ পর্ব পর্যন্ত শুধু অধিনায়কদের স্লো ওভার রেটের জরিমানা হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ রুপি। আর পাঁচটি ম্যাচে সব খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির জরিমানা যোগ করলে মোট পরিমাণ হবে দ্বিগুণের কাছাকাছি।
স্লো ওভার রেটের বাইরে অসদাচরণের কারণে জরিমানা গুনেছেন মোট ৬ ক্রিকেটার—দিগ্বেশ রাঠি, ইশান্ত শর্মা, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, বরুণ চক্রবর্তী, অভিষেক শর্মা ও মুকেশ কুমার। এর মধ্যে লক্ষ্ণৌর রাঠি দুই দফায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রথমবার ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ, পরেরবার ৫০ শতাংশ জরিমানা গুনেছেন। ২৫ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনারকে লক্ষ্ণৌ কিনেছিল ৩০ লাখ রুপিতে। খেলোয়াড়দের বাইরে গুজরাট টাইটানসের কোচ আশিস নেহরা ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলিং কোচ মুনাফ প্যাটেলের জরিমানা হয়েছে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ করে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও