বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Proval Logo

দেশের শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-শিক্ষকদের সম্পর্কে যেন না চিড় ধরে

প্রকাশিত - ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪   ০৯:৩৪ পিএম
webnews24

প্রণবকান্তি দেব : যে নতুন ভোর আসবে বলে জুলাই-অগাস্টের বাংলাদেশ গর্জে উঠেছিল তারুণ্যের সাহস-শৌর্য-বীরত্বে, সে ভোরের আলোয় আজ দেখা দিয়েছে এক করুণ, কাতর, ম্লান রেখা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের হাত ধরে রচিত হয়েছিল যে অভ্যুত্থানের ইতিহাস, জ্ঞান-গরিমা-দ্রোহ-বিপ্লবের সূতিকাগার সেই বিদ্যায়তনগুলোতে এখনও গুমোটভাব কাটেনি। রয়েছে অচেনা আতঙ্ক। ৫ অগাস্টের পর গেল কয়দিনে পুরো দেশজুড়ে ঘটেছে হাজারো শিক্ষক নিপীড়নের ঘটনা। কোথাও অপমান, অপদস্থ, কোথাও জোরপূর্বক পদত্যাগ, এমনকি কোথাও কোথাও গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনাও ঘটছে। নানা অজুহাতে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও, কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, কোন না কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ, ঘেরাও-প্রতিবাদের ঘটনা ঘটছেই। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, শহর থেকে মফস্বল সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে এসব ঘটনার বিষাদবায়ু। প্রতিটি ঘটনাই দেখা যায় একই ধাঁচে ঘটছে। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অভিযোগের বড় একটা অংশজুড়ে আছে আওয়ামী সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ক্ষমতার দাপটে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিরোধিতা। তারপর সংগঠিত হয়ে প্রতিষ্ঠানে যাওয়া। মিছিল, শ্লোগান, প্রতিবাদ। পদত্যাগে বাধ্য করা। 
মোবাইলে ধারণ করা হচ্ছে শিক্ষককে অপমানের দৃশ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে এ আগুনকে আরও প্রলম্বিত করা হচ্ছে। ফলে দেশ সংস্কারের যে গৌরবজনক দায়িত্ব শিক্ষার্থীরা কাঁধে নিয়েছিল, সেই গৌরব প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে শিক্ষকদের ওপর এই নীপিড়ন-নির্যাতনের ঘটনায়। অভিযোগ নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন না হয়ে, আইনি প্রক্রিয়ার ধারে-কাছে না গিয়ে অনেকটা মব রুল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। আর এসব ক্ষেত্রে উসকানি দিচ্ছে ক্ষমতালিপ্সু আরেকদল মানুষ। তবে, অতি সম্প্রতি মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন কিন্তু এই নির্দেশনার প্রতিফলন খুব একটা দৃশ্যমান হয়নি এখনও। ফলত, যে শিক্ষককে ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ অভিধায় সম্মানিত করা হতো একদিন, সেই শিক্ষকদের মুখ এখন বেদনায় ম্লান। অন্যদিকে, আমাদের এতদঞ্চলে ছাত্র-শিক্ষকের প্রীতি ও শ্রদ্ধার, গুরু ও শিষ্যের সম্পর্কের যে হাজার বছরের সংস্কৃতি স্বীকৃত ছিল, সে ধারায় ফাটল ধরাচ্ছে এসব অনভিপ্রেত ঘটনাগুলো। ক্ষমতা আর রাজনীতির কূটিলচক্রে বন্দি সময়ের কাঠগড়ায় আজ শিক্ষক সমাজ। বিপন্ন, বিষন্ন গভীর এক হাহাকার শিক্ষকদের মনোজগৎকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে আজ। 
শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সম্পর্কের মাঝখানে বৈরিতা সৃষ্টি হলে এর প্রভাব পড়বে বহুদূর। এখনও আমাদের সমাজ-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে পবিত্র, সবচেয়ে গুরুগম্ভীর সম্পর্কের নামটি হচ্ছে ছাত্র-শিক্ষক। এখনও সবার সামনে উন্নত মস্তকে, দ্বিধাহীন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটির নাম শিক্ষক। এখনও সংকটে, সংগ্রামে, দুর্দিনে, দু:সময়ে ছাতার মতো মানুষ আশ্রয় খোঁজে শিক্ষকের কাছেই। এখনও কিশোর-কোমল, তরুণ-যুবার কাছে স্বপ্ন-আদর্শের রোল মডেল তার প্রিয় শিক্ষক। এখনও ক্লাসের একেবারে পেছনের বেঞ্চে বসা ছেলেটা তার শিক্ষকের জন্য চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায়, সাইকেল থেকে নেমে সালাম দেয়, এমনকি হাটে-বাজারে দেখা হলে হাত বাড়িয়ে ব্যাগটা নিতে চায়। এখনও সবচেয়ে সাহসী ছেলেটা স্যারের সামনে এলে কাচুমাচু ভঙ্গিতে অবনত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এখনও সমাজের কাছে শিক্ষক মানে বটবৃক্ষ, সমাজের ওপর আদিগন্ত বিস্তৃত এক ছায়া। ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক এমনই। নিটোল তমালের মতোন। কোমল-কঠিনে মাখামাখি। শুদ্ধতার চাদরে ঢাকা। ভাবনার পবিত্রতম সিন্ধু।
সাম্প্রতিককালের ঘটনাগুলো আপামর শিক্ষক হৃদয়ে যে গভীর ক্ষত, যে গোপন বেদনা, যে নিশব্দ হাহাকারের জন্ম দিয়েছে, তাতে ছাত্র-শিক্ষকের সেই অমলিন, অনুপম সম্পর্ক কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আর ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কে চিড় ধরলে, বিশ্বাস-ভালোবাসা-শ্রদ্ধায় প্রশ্নবোধক চাহনি দেখা দিলে সেটি শুধু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য নয় গোটা সমাজের জন্য একটি অশনিসংকেত হবে। ফলে, আর কালক্ষেপণ নয়, ক্ষতস্থানে এখনই ওষুধ দিতে হবে। পুরোটা অন্ধকারে ঢেকে যাওয়ার আগেই জ্বালাতে হবে বাতি। তবে এক্ষেত্রে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের। শিক্ষকদের গভীরভাবে নিজের দিকে তাকাতে হবে আগে। একান্তে প্রশ্ন করতে হবে নিজেকে। কেন এই ঘটনাগুলো ঘটছে? কাদের সঙ্গে ঘটছে? কেন অন্যদের সঙ্গে ঘটছে না? যে নীতি ও মূল্যবোধের প্রতিজ্ঞা নিয়ে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় এসেছিলেন, আজকের শিক্ষক কি সেই পথে অটুট আছেন? এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, শিক্ষকতা পেশার যে গৌরবোজ্জ্বল অতীত ছিল, তার অনেকটাই এখন ফিঁকে। 
প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই এখন অপরাজনীতির কালো থাবা। একসময়ের নির্লোভ, অহংকারশূন্য শিক্ষকরা এখন রাজনীতির দাবার ঘুটি। লোভ দখল করেছে তাদের উপাসনাস্থলের মতো পবিত্র হৃদয়। পদ-পদবী, অর্থ-বিত্তের মোহে তারা হারিয়েছেন 'ঈশ্বরের মতো নিরপেক্ষ' থাকার অমোঘ সেই শক্তি। মূল্যবোধ আর নীতিশাস্ত্র দিয়ে যিনি জয় করার কথা শিক্ষার্থীমন, তিনি নিজেই এখন পথভ্রষ্ট। ফলে, অন্ধকার নেমেছে আজ চারদিকে। তবু হাল ছেড়ে দেয়ার সময় এখনও আসেনি। সূর্য মেঘের আড়ালে আছে, অস্ত যায়নি এখনও। যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। এর বাইরে আমাদের সামনে আছেন অসংখ্য আদর্শিক শিক্ষক। আর এখানেই নিহিত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা। বর্তমানে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হলেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যবিহীন। অনেক স্কুল-কলেজে প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ নেই। ফলে শৃঙ্খলাবিহীন চলছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সামনের দিনে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ককে সেই সোনালি আলোয় ফিরিয়ে নেয়া। 
একদিকে অভ্যুত্থানের ট্রমা, পরিবর্তনের বহুমুখী প্রভাব অন্যদিকে সামজিক অস্থিরতা, শিক্ষাঙ্গনের নিজস্ব সংকট। এক্ষেত্রে, অভিভাবকত্ব দিতে হবে শিক্ষকদেরই। শ্রেণিকক্ষে ফিরে গিয়ে শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে গত জুলাই-অগাস্টের ঘটনাবলি আমাদের শিক্ষার্থীর মনে এক গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাদের মনোজগতে রাষ্ট্র, রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনি ও নাগরিক অধিকার সম্পর্কে নানামুখী ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। ভীতি,উদ্বেগ ইত্যাদি শব্দগুলো তাদের অভিধানের অনেকটা জায়গা দখল করে নিয়েছে। ফলে আমরা হয়তো চাপা দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন বিষণ্নতা, উদ্বেগ, মানসিক চাপ, শোকগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা দেখতে পাব। কারও পক্ষে হয়তো, শিগগির স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। এমনকি সামগ্রিকভাবে তাদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরাও আর আগের মতো নয়। শিক্ষার্থীরা এখন অনেক পরিণত, প্রতিবাদী, আত্মপ্রত্যয়ী ও সাহসী। তাদের ভেতরে একইসঙ্গে চাপা ক্ষোভ এবং নতুন আশা। শিক্ষকদের সেই ভাষায় কথা বলতে হবে। পারস্পরিক বোঝাপড়ার জায়গাটিকে আরও সুসংহত করতে হবে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতি এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা নিরূপণ করে এখনই কাজে নামতে হবে। আগামী দিনের পাঠদানে শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে এর জন্য প্রয়োজন একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষকরা যদি তাদের পেশাগত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে না পারেন, তবে শিক্ষার মানও নষ্ট হবে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনও ব্যাহত হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। 
যেমন, প্রথমত, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে। একটি সুস্থ ও সুন্দর শিক্ষাঙ্গনের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে বিশ্বাস ও পারস্পরিক সম্মানের সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। এর জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং সেশন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার ওপর জোর দেয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। প্রশাসনকে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যে কোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে সক্রিয় থাকতে হবে। তৃতীয়ত হচ্ছে প্রশাসনিক সংস্কার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনার এবং সেগুলোর সঠিক তদন্ত করার একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত। 
শিক্ষা প্রশাসক এবং শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের মনের কাছাকাছি আসতে হবে। তাদের অভাব,অভিযোগ, আবেগ, অনুভূতিরর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। চতুর্থত, প্রতিটি স্তরে শিক্ষাক্রমের পুনর্মূল্যায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমান শিক্ষাক্রমকে আরও যুগোপযোগী এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে সহায়ক করতে হবে। শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না রেখে তাদের জীবনবোধ ও নৈতিকতা শেখানোর ব্যবস্থা করা উচিত। স্বেচ্ছাসেবা, সংকট নিরসন দক্ষতা, সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সমাজ, রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা ইত্যাদি বিষয়গুলো শিক্ষার্থীর প্রতিদিনের চর্চায় নিয়ে আসতে হবে। পঞ্চমত, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক কেউই যেন লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত হতে না পারেন তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
শেষে এসে এটাই বলব বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সবার আগে প্রয়োজন সহনশীলতা, প্রয়োজন পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটাকে শক্ত করা। শিক্ষক, শিক্ষার্থী উভয়ের মনে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা প্রশমিত করতে উদ্যোগ নিতে পারেন অভিভাবকসহ সমাজের সকল শ্রেণীর শুভ বুদ্ধির মানুষ। কেননা ছাত্র এবং শিক্ষক আমাদের সমাজের সবচেয়ে অগ্রসর মানুষ। সমাজকে সুন্দরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান তারা। অন্যদিকে এই সময়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কারেরও উদ্যোগ নিতে হবে নীতিনির্ধারকদের। যে ভুলের জন্য, যে অপরিণামদর্শিতার জন্য আজ আমরা এই বিষণ্ন সময়ের মুখোমুখি সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার এটাই মোক্ষম সুযোগ। কারিকুলাম থেকে নিয়োগ, পাঠদান থেকে মূল্যায়ন, নীতিনির্ধারণ থেকে বাস্তবায়ন সবক্ষেত্রে সময়ের আওয়াজ শুনতে পেলেই আমাদের সুদিন আসবে। নতুন আলোয়ভরা ভোর আসবে, সকাল হবেই।

লেখক : শিক্ষক, সংগঠক ও কলামিস্ট। বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি 


 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন