প্রভাত ডেস্ক: গাজার দিকে রওনা দেওয়া আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর কমান্ডোরা জাহাজটি দখলে নেওয়ার পর এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজের যাত্রীদের ফোন ছুড়ে ফেলতে বলে। আল জাজিরা বলছে, জাহাজ অনুসরণ করা সাংবাদিক ওমর ফায়াদের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ হারিয়ে গেছে। সরাসরি সম্প্রচারও বন্ধ হয়ে গেছে। ‘ম্যাডলিন’-এ আন্তর্জাতিক সংহতি আন্দোলনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হুয়াইদা আররাফ আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা এখন জাহাজটির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ পাচ্ছেন না।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই জাহাজটিকে ইসরায়েলের আশদাদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাহাজটিকে সেলফি ইয়ট বলে উল্লেখ করে লিখেছে, ‘তারকাদের’ বহনকারী ‘সেলফি ইয়ট’–কে নিরাপদে ইসরায়েলের উপকূলের দিকে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর আগে জাহাজের আশপাশে ইসরায়েলি ড্রোন ও নৌযান ঘোরাফেরা করছিল। ড্রোন থেকে একটি সাদা রঙের রাসায়নিক জাতীয় পদার্থ ছিটানো হয়। এতে কিছু যাত্রীর চোখে জ্বালাপোড়া শুরু হয়।
ঘটনার আগে থেকেই জাহাজের ওপর ভয়ঙ্কর ভঙ্গিতে এগিয়ে আসছিল ইসরায়েলের নৌবাহিনীর জাহাজগুলো। পরে জানা যায়, ‘ম্যাডলিন’ চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে ইসরায়েলি নৌ-কমান্ডো এবং তারা জাহাজটি দখলে নেয়।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের অংশ জাহাজটি ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গাজার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী—যেমন চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার, শিশুদের দুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ কিট নিয়ে। ইসরায়েল আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, তারা কোনো জাহাজকে অবরোধ ভেঙে গাজায় পৌঁছাতে দেবে না।