• শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতল রংপুর রাইডার্স নোয়াখালীতে পানিবন্দি ৪২ হাজার পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ মানুষ সূত্রাপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, স্বামী-স্ত্রী ও তিন সন্তান দগ্ধ শুল্কের কিছু বিষয়ে অমীমাংসিত রেখেই শেষ হলো দ্বিতীয় দিনের আলোচনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার জুড়ে যানজট প্রশ্ন, স্বল্প সময়ের মধ্যে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা দেশের অর্থনীতির করুণ অবস্থা চলছে : রিজভী রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফের বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম ময়মনসিংহে ১১ প্রতিষ্ঠানের সবাই অকৃতকার্য অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাত গ্রেপ্তার

ভারতীয় বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলা বন্ধ করুন: মমতা

প্রভাত রিপোর্ট / ৯ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫

প্রভাত ডেস্ক: ‘ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাদের বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। তাদের অনুপ্রবেশকারীর তকমা দিচ্ছে। এ এক গভীর চক্রান্ত চালানো হচ্ছে’, এমন অভিযোগ বারেবারে করে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার(১০ জুলাই) আরও একবার সবর হয়েছেন তিনি।
এদিন এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, নয়াদিল্লির বসন্তকুঞ্জের ‘জয় হিন্দ’ কলোনি থেকে উঠে আসা একের পর এক ভয়ঙ্কর হেনস্তার ঘটনার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও বিচলিত। এই বসতি মূলত সেই বাংলাভাষী মানুষেরা তৈরি করেছেন, যারা দিল্লিকে গঠন করার অসংগঠিত শ্রমশক্তির গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ। এরপরই মমতা লিখেছেন, বিজেপি পরিচালিত সরকারের নির্দেশে তাদের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে এবং ইলেকট্রিসিটি মিটার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তারা নিজেদের টাকায় যে প্রাইভেট পানির ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা দিল্লি পুলিশ এবং আরএএফ-এর সহায়তায় আটকে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে একপ্রকার জবরদস্তি উচ্ছেদ চলছে, যদিও এই বিষয়ে গত ডিসেম্বরেও একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দিল্লি পুলিশের হস্তক্ষেপের পর আদালতে এই মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আশ্রয়, পানি ও বিদ্যুৎ, এই মৌলিক অধিকারগুলো যদি এইভাবে পদদলিত করা হয়, তাহলে আমরা কীভাবে নিজেদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বলে দাবি করব?
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে দেড় কোটিরও বেশি অন্য রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক রয়েছেন, যারা সম্মানের সঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে সেই কথা জোরের সঙ্গে বলা যায় না, যেখানে বাংলাভাষীদের নিজের দেশেই অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেউ বাংলায় কথা বললে, তিনি বাংলাদেশি হয়ে যান না। ভাষা নির্বিশেষে তারা ভারতেরই নাগরিক, যেকোনো ভারতীয় নাগরিকের মতোই সমান অধিকারসম্পন্ন।
পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার যেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এবার সেই বাংলাবিরোধী অপচেষ্টাকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে শুরু করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা ও মধ্যপ্রদেশ থেকেও বাংলাভাষীদের উপর নিপীড়ন করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন সেই বিদ্বেষের ছায়া এসে পড়েছে দেশের রাজধানীতেও।
সবশেষে মমতা লিখেছেন, এই দেশেই বাংলার মানুষ যদি অনাহূত অতিথির মতো আচরণের শিকার হন, তাহলে আমরা চুপ করে থাকব না। বাংলা সমস্ত নির্যাতিত কণ্ঠের পাশে দাঁড়াবে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সর্বত্র আওয়াজ তুলব।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে আম আদমি পার্টিকে পরাজিত করে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। মমতার অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পর, বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার নেতৃত্বে প্রশাসন বাঙালি নিধনে নেমেছে। বেছে বেছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও